রূপরেখা প্রতিবেদন
১১ আগস্ট ২০২৫ | সোমবার
তেল আবিব ও অন্যান্য শহরে প্রায় ১ লাখ বিক্ষোভকারী অংশ নেয়; বিক্ষোভে জিম্মি পরিবার ও সাধারণ জনতা মিলেমিশে যুদ্ধবিরতি, বন্দিদের মুক্তি ও মানবিক বিবেচনার দাবি করেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে এক প্রতিকূল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। বিশেষ করে টেল আবিবে অনুষ্ঠানদৃশ্যে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন এবং পরিবার-ভিত্তিক ফোরামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমাবেশগুলো হয়।
বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবি: যুদ্ধ স্থগিত করা, বেঁচে থাকা বন্দিদের নিরাপদ মুক্তি ও রাজনৈতিক প্রভাব থেকে দূরে থাকা।
‘Hostages and Missing Families Forum’ — পরিবারের প্রতিনিধিরা বলছেন, যুদ্ধ সবচেয়ে প্রিয়জনদের জন্য মারাত্মক সংকট তৈরি করবে এবং “জাগতে পারা অসম্ভব করে তুলবে”।
বিক্ষোভে বক্তারা সেনাদেরও আহ্বান জানান: “গাজায় যেতে রাজি হবেন না”, কারণ এটি দেহী ও মানবিক ঝুঁকি বাড়াবে।
আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দায় রয়েছে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত—ইউরোপীয় দেশসমূহ, জাতিসংঘ, ও জোটভুক্ত আরব দেশগুলো পরিকল্পনাটি মানবিক সংকট আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষণ: কারণ ও প্রভাবঃ
কারণ মন্ত্রিসভা গাজা সিটির সামরিক দখলের সিদ্ধান্ত নেয়, যা সেনাবাহিনীরও আপত্তি সত্ত্বেও চালু হলো এবং তা বেসামরিক জনদের মাঝে ভয় ও অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে।
শাসনপ্রক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া সাধারণ জনগণ এবং জিম্মি পরিবার ভারতের গঠনমূলক বিপরীতে এবার সরাসরি রাস্তায় নেমেছেন এবং সেনাদের অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন—এটি ইসরায়েলি শাসন ব্যবস্থায় একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে গণ্য।
মানবিক প্রভাব গাজায় মানবিক অবস্থা ক্রমেই বিপর্যয়জনক: অতীতে ৯৮ শিশু মাত্র খাদ্যাভাব থেকে মৃত্যু হয়েছে, এবং এখন নানাবিধ সংকট—খাদ্য, চিকিৎসা, আশ্রয়—তীব্রভাবে বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া জাতিসংঘ মহাসচিব, ইউরোপীয় নেতারা এবং কিছু আরব দেশ যুদ্ধের মানবিক প্রভাব নিয়ে সরব। একটি ইউরোপীয় মন্ত্রী ইসরায়েলের পরিকল্পনাকে “ভিয়েতনাম”-র মতো দীর্ঘস্থায়ী অভিযানের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
উপসংহারঃ
সামরিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের অভূতপূর্ব সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়া—যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তির অনুরোধ—দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকারকে নতুন চাপে ফেলছে। গোটা বিষয়টি ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও নীতি নির্ধারণে স্থিরতা ও মানুষের মানবিক চাহিদার দিকে নতুন ভাবনা আনতে বাধ্য করছে।
এ ছাড়াও, আন্তর্জাতিক চাপ ও মানবিক সংকটের বিবেচনায় সরকার কি থেকে যাবে কঠোর অবস্থানে না নরম হবে—এই প্রশ্ন এখন আলোচনা ও রাজনৈতিক দিকনির্দেশনায় মুখ্য প্রভাব ফেলবে।
