মধ্যরাত থেকে বিক্ষোভ:
শুক্রবার (৮ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে ঢাবির বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীরা রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করেন। রোকেয়া হল থেকে শুরু করে শেখ মুজিবুর রহমান, মুহসীন, বিজয় ৭১ ঈত্যাদি বলিষ্ঠ অংশগ্রহণ দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রেই ফটকের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে মিছিল করেন ।
ছাত্রদলের কমিটির ঘোষণা:
দিবাগত সকালেই ১৮টি হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে, যাতে ৫৯৩ শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামও ছিল, যা প্রচারণা ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি করে ।
স্বল্প আলোচনার পর প্রশাসনের ঘোষণা:
ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করলে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ রাত ২টার দিকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, “২০২৪ সালের ১৭ জুলাই করা নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে,” এবং প্রতিটি হল প্রশাসনকে নির্দেশনা পালন করতে বলা হয় ।
চূড়ান্ত ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া:
প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনার পর প্রক্টর স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন— "উভয় প্রকাশ্য এবং গুপ্ত রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে"। এই ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং 'হল পলিটিক্স নিষিদ্ধ হলো' স্লোগান দেন ।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ:
প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছিল— কমিটি কেন দেওয়া হলো তার জবাব, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব গুপ্ত ও প্রকাশ্য কমিটি বিলুপ্ত, হল একাডেমিক অঞ্চলকে রাজনীতি মুক্ত করা, প্রভোস্টদের দায়িত্ব নেওয়া ও গতিশীল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন (ডাকসু) বাস্তবায়নসহ। এ দাবিগুলো প্রশাসন প্রত্যাখ্যান করেনি ।
পরিস্থিতির বিশ্লেষণ:
সম্ভাব্য কারণ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করায় এক বছরের নিষিদ্ধের নীতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যা শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থা নিয়ে সমন্বয়পূর্ণ সাড়া দিয়েছে, যা উত্তপ্ত পরিস্থিতি কিছুটা প্রশমিত করেছে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা দীর্ঘমেয়াদে নিষিদ্ধ নীতির কঠোর বাস্তবায়ন ও শালীনতা রক্ষা করতে হলে, প্রভোস্টসহ প্রশাসনকে সাংগঠনিক সংস্কার ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে হবে।
ঢাবির ক্যাম্পাসে শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫ এর প্রথম দিকে একাধিক মাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, তীব্র আন্দোলনের পর প্রশাসন প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, যা ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঘোষণাকেই ধরে রেখেছে। শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে ছয় দফা প্রয়োজনীয় দাবি রেখেছে—যা ভবিষ্যৎ আন্দোলন এবং প্রশাসন–শিক্ষার্থী সম্পর্কের সূক্ষ্মতা নির্দেশ করে।
