ঢাকা, ২২ মে ২০২৫:
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুপুরে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “নির্বাচনি বিধিমালা লঙ্ঘন করায় তার প্রার্থিতা থাকার সুযোগ ছিল না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য প্রদানের ঘটনায় দুদক আইনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা বা পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার দাখিল করা হলফনামায় তিনি এক লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং তিন কোটি ৪৭ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেখিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশনের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই সময়ে তার প্রকৃত স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ফলে প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকার বেশি সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে বলে দুদক দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা টানা চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের মুখে তিনি দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। তার শাসনামলে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচন তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল বলে মনে করা হয়। এবার সেই নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলল দুর্নীতি দমন কমিশন।
